ল্যান্ডিং পেইজ কি?
মার্কেটিং এর ভাষায় ল্যান্ডিং পেইজ বলতে ওয়েবসাইটের একটি বিশেষ পেজকে বোঝায় যেখানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা অফার করা হয়।
ল্যান্ডিং পেজ বানানো হয় মার্কেটিং অথবা অ্যাডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার উদ্দেশ্যে। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার পর ভিজিটর প্রথম এই পেজ এ ল্যান্ডিং করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করা শুরু করে। তাই একে ল্যান্ডিং পেজ বলে।
অর্থাৎ গুগল, ইউটিউব বা ফেসবুক অথবা অন্য কোন বিজ্ঞাপন থেকে ভিজিটরদের কালেক্ট করার জন্য যে পেইজ তৈরি করা হয় বা যে পেইজে ‘অ্যাডস’ এর মাধ্যমে ভিজিটরদের নিয়ে আসা হয় তাকেই ল্যান্ডিং পেইজ বলে। অনেকে এই ল্যান্ডিং পেইজকে বিভিন্ন নামে চিনে থাকেন যেমন- লিড ক্যাপচার পেইজ, সিঙ্গেল প্রোপার্টি পেইজ, স্ট্যাটিং পেইজ এবং ডেসটিনেশন পেইজ।
এইটা হলো ল্যান্ডিং পেইজ এর সংজ্ঞা।
ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করা হয় নির্দিষ্ট কোন টপিক এর উপর ভিত্তি করে। এটি ডিজাইনের ও বিভিন্ন রকম উদ্দেশ্য রয়েছে।
ল্যান্ডিং পেইজ গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কনভার্সন রেট বাড়ানোর এবং ওয়েব সাইটের সেলস বাড়ানোর। সাথে বোনাস হিসেবে আরো পাবে ‘কাস্টমারের ডাটা’ যা পরবর্তীতে টার্গেটেড অডিয়েন্সে পরিনত হয়। নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের মার্কেটিং এর জন্য যে পেইজ তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় ল্যান্ডিং পেইজ।
কনভার্সন রেট কি ?
কনভার্সন রেট হচ্ছে ওয়েব সাইটের মোট ভিজিটরের মধ্যে ক্রেতাদের সংখ্যা। উদাহরন – আপনার ওয়েব সাইটে টোটাল ভিজিটর হচ্ছে ১০০ জন। এর মধ্যে আপনার ওয়েব সাইট থেকে পন্য কিনেছে এই ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন। তখন আপনার ওয়েব সাইটের কনভার্সন রেট হবে ২০% ।
ল্যান্ডিং পেইজ এর উপকারিতা –
ল্যান্ডিং পেইজ আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট বাড়াতে সাহায্য করে। এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু প্রোডাক্টের অফার এর মার্কেটিং করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় পুরো ওয়েব সাইটের মার্কেটিং করলে অত বেশি কার্যকর ফল আসে না, যতটা এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে মার্কেটিং করাতে আসে। তাই সকল মার্কেটাররা এই ল্যান্ডিং পেইজ কে পছন্দ করে থাকেন তাদের নির্দিষ্ট প্রডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটিং এর জন্য।
ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের সেলস বাড়িয়ে তোলা যায় এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের দিকে কাস্টমারকে আকর্ষিত করা যায় । কারণ যখন একটি কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে আসবে তখন সে আপনার ওয়েব সাইটে কি কি আছে তা একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবে । ফলে পরবর্তীতে সে আপনার রেগুলার কাস্টমারে রূপান্তর হবে।