এস ই ও এর পুরো অর্থ হলো ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’। অর্থাৎ আপনার একটা কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে ওপরের দিকে থাকার জন্য ভিজিটর বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অপটিমাইজ করাই SEO। এখন আপনার মনে হয়তো একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে “অপটিমাইজ করা বলতে কি বোঝায়?।
অপটিমাইজ করা বলতে মূলত সার্চ ইঞ্জিনের কিছু রিকুয়ারমেন্ট থাকে যা ঠিকমতো করতে পারলেই শুধুমাত্র আপনার কন্টেন্ট এসইও অপটিমাইজড হবে। আর এস ই ও অপটিমাইজ করতে পারলে আপনার কন্টেন্ট/প্রোডাক্ট/লেখা/ভিডিও যেকোনো কিছু সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় নিয়ে আসতে পারবেন। তো আজকে এস.ই.ও এর বেসিক কিছু বিষয় নিয়ে লিখব। তো চলুন শুরু করা যাক।
Contents
লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
আপনি যখন এসইও শিখা বা করার সাথে জড়িত থাকবেন তখন লিংক বিল্ডিং কথাটি আপনার সামনে যতবার আসবে ঠিক তার একভাগও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কথাটি আসে না। কারণ সবাই এটিকে এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু যত বড় বড় অনলাইন প্রফেশনালরা আছেন যারা মার্কেটিং এর সাথে জড়িত তাদের বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের সাইটের কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য যেমন লিংক বিলদিং করে ঠিক তেমনই আয় বাড়ানোর জন্য ব্ল্যাকহ্যাট এসইও করে থাকে। কিন্তু কোন অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার অথবা ভিডিও টিউটোরিয়ালে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর কথা বলা হয় না। আজ আমি চেষ্টা করবো কিছু লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাকহ্যাট এসইও এর কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করার। যদিও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর অনেক টেকনিক আছে সব বলা সম্ভব নয়, যতটুকু পারি শেয়ার করছি।
হোয়াইট হ্যাট এসইও
সার্চ ইঞ্জিনে সমূহের নীতিমালা মেনে চলে যে এসইও করা হয় তা হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও।এসব গাইডলাইন বা নীতিমালার মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন নীতিটি হচ্ছে “আপনার ওয়েবসাইট মানুষের কল্যাণের জন্য তৈরী করুন ,সার্চ ইন্জিনের জন্য নয়”। মূলত ব্যাকলিংক , কিওয়ার্ড গবেষনা , লিংক পপুলারিটি, লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও।হোয়াইট হ্যাট এসইও কে ইথিক্যাল এসইও বলা যায়।
লিংক পপুলারিটি
সাইটের স্থান সার্চ রেজাল্টের কততম পেজে থাকবে তা নির্ধারণ করা হয় লিংক পপুলারিটির সাহায্যে। মূলত আপনার ব্যাকলিংকের সংখ্যার উপর এই লিংক পপুলারিটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
ইন্টারনাল লিংক
আপনার একটি পোস্টের ভেতর অন্যান্য পোস্টের লিংক দিয়ে দেয়াই হলো ইন্টারনাল লিংক। যেমন ধরুন আমি এখন লিখলাম “ইন্টারনাল লিংক ব্লাক হ্যাট এসইও নয় ” বরং এটি হোয়াইট এসইও। ব্লাক এসইও কথাটির মাধ্যমে আমি আমার পূর্বোক্ত ব্লাক হ্যাট এসইও বিষয়ক পোস্টের লিংক দিয়ে দিলাম। এভাবে ইন্টারনাল লিংক তৈরি হবে। ইন্টারনার লিংক এসইওর জন্য খুবই উপকারী। এতে করে পেজ র্যাংকও বাড়ে।
আউটবাউন্ড লিংক
আউটবাউন্ড লিংক ব্যাকলিংকের সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থ্যাৎ অন্য কোন সাইটের লিংক যদি আপনার সাইটে থাকে তা হবে আউটবাউন্ড লিংক। আউটবাউন্ড লিংক কে আউটগোয়িং লিংকও বলে।এটিও হোয়াইট হ্যাট এসইও ।
ব্যাক লিংক
ব্লগ কমেন্ট, ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট ইউআরএলটি আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবেন। যাতে করে অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএলটি থাকবে।এবং এত করে যে লিংকটি দিলেন সেটিই হলো আপনার ব্যাকলিংক। আপনি হোম পেজ বা অন্য যে কোন পেজের লিংক দিতে পারেন। ব্যাক লিংককে ইনকামিং লিংক বা ইনবাউন্ড লিংকও বলে। এটি হোয়াইট হ্যাট এসইও
ব্লাক হ্যাট এসইও
মানুষের কল্যাণে নয় সার্চ ইজ্ঞিনের প্রথম পেজে থাকার জন্য অসৎভাবে অথ্যাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশানের নিয়ম কানুন না মেনে যে এসইও করা হয় তা হলো ব্লাক এসইও।একে আনএথিকাল এসইও বলা যায়। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও যে ভাবে করা হয় তার মধ্যে আছে কীওয়ার্ড স্টাফিং, ক্লকিং, ডোরওয়ে পেজেস, অদৃশ্য টেক্সট, স্প্যামিং ব্যাকলিংক ইত্যাদি পদ্ধতি। এধরণের এসইও আনইথিক্যাল এসইও নামেও পরিচিত। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করার সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিন এর তালিকা থেকে বাতিল হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সবসময় এটি এড়িয়ে চলুন এবং এসইওর নিয়ম কানুন মেনে এসইও করুন।
লিংক ফার্ম
আপনি ১২ টি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন এবং ব্যাকলিংক বৃদ্ধির জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংক অপর ওয়েবসাইটে দিলেন। এভাবে সব কয়টি ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক বৃদ্ধি করতে চাইলেন। আর এ কাজটিই হলো লিংকফার্ম। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে এধরণের কাজ স্প্যাম হিসেবে পরিগণিত। কাজেই আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ধরা খাবেন তখনি আপনার সাইটকে তারা তাদের লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দেবে।
ডোরওয়ে পেজ
আপনি নিজেতো কাজের কাজ কিছু করতে পারলেন না অথচ তবুও সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসার লোভ থামাতে পারছেন না। আর এই জন্য আপনি কীওয়ার্ড নির্বাচন করে কীওয়ার্ডের ঝরণা ঝরিয়ে আপনার ব্লগে একটি আর্টিক্যাল লিখলেন । অথচ আপনি আর্টিক্যালটি পড়তে অন্যকোন ওয়েবসাইটের ইউআরএল বসিয়ে দিলেন। যার ফলে ভিজিটর সার্চ দিয়ে আপনার সাইটে প্রবেশ করলেও তাকে তথ্যটি দিতে আপনিই অন্য কোন ওয়েবসাইটে রিডাইরেক্ট করাচ্ছেন। এটিই হলো ডোরওয়ে পেজ। এটি ব্ল্যাক এসইওর অন্তর্ভূক্ত। কাজেই এ বিষয়টি কখনো করবেন না। দুর্বল হলেও নিজে আর্টিক্যাল লিখে তা প্রকাশ করুন।
অদৃশ্য টেক্সক্ট
এটিও হলো এক ধরণের কীওয়ার্ড স্টাফিং। ধরুন আপনি আপনার ওয়েবের ব্যাকগ্রাউন্ড কালারের সাথে ম্যাচ করে কীওয়ার্ড এর মাত্রাধিক ব্যবহার করেছেন। এদিকে টেক্সট কালার আর ব্যাকগ্রাউন্ড কালার একি হওয়ায় তা ভিজিটর দেখতে পাচ্ছে না ঠিকই কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনকে তা পড়তে হচ্ছে । এটি কখনোই করবেন না। এটি ব্ল্যাক এসইওর অন্তর্ভূক্ত।
কীওয়ার্ড স্টাফিং
আপনার আর্টিক্যালে কাজের জিনিস না রেখে কেবল কীওয়ার্ড এর ছড়াছড়ি বা গাদাগাদি করে রাখাটাই হলো কী ওয়ার্ড স্টাফিং। মূলত কীওয়ার্ড স্টাফিং করে আপনি সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসতে পারলেও এটি যখন সার্চ ইঞ্জিনের নজরে আসবে তখন আপনার জন্য সুখকর কোন মুহূর্ত অবশিষ্ট থাকবেনা এমনকি আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিন থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। অতএব সর্বদাই এ কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। মান সম্পন্ন আর্টিক্যাল লিখুন এবং কী ওয়ার্ড ডেনসিটি বজায় রেখে আদর্শ আর্টিক্যাল লিখুন।
ক্লকিং
ক্লকিং হলো এমন একটা টেকনিক বা পদ্ধতি যেটা সার্চ ইন্জিনকে এক ধরনের কনটেন্ট দেখাবে আর ইউজারকে অন্যরকম কনটেন্ট দেখায়। এখন আপনাদের যে বিষয়টি ক্লিয়ার করব তা হলো সার্চ ইঞ্জিনের কাজ করে মানুষ এবং তার সাথে সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার । ক্লকিং পদ্ধতিটিতে যখন সার্চ ইঞ্জিনের সার্ভারে কোন পেজের জন্য রিকোয়েস্ট যায় তখন এই টেকনিকের সাহায্যে আইপি এড্রেস বা ইউজার এজেন্ট দেখে বোঝা যায় যে এটা কোন সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার নাকি মানুষ। যখন দেখে স্পাইডার তখন এক ধরনের পেজ দেখায় আর মানুষ হলে আরেক ধরনের পেজ। এইটা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
কিওয়ার্ড ডেনসিটি
একটা পোস্টে কোন একটা নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কতবার ব্যবহৃত হয়েছে সেটিউ হলো কিওয়ার্ডটির ডেনসিটি বা ঘনত্ব। প্রতি ১০০ শব্দে আপনার নির্ধারিত কীওয়ার্ডটি কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার করুন।
পেজ রেঙ্ক কি?
যার মাধ্যমে গুগল কোন একটি ওয়েব সাইট এর প্রতিটি পেজ এর গুরুত্ব পরিমাপ করে থাকে তাই হচ্ছে পেজ র্যা ঙ্ক। গুগল সার্চ ইঞ্জিন এ আমরা যখন সার্চ করি তখন সেখানে জেই সার্চ রেজাল্ট দেখতে পারি তার অনেকটাও এই পেজ র্যা ঙ্ক এর উপর এবং কিছু অন্যান্য বিষয় এর উপর নির্ভর করে থাকে । পেজ র্যা ঙ্ক এর উদ্ভাবন করেন গুগল এর জনক ল্যারি পেজ এবং সারজে ব্রিন । এই পেজ র্যা ঙ্ক বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে যার মধ্যে ব্যাকলিঙ্ক , কি ওয়ার্ড ডেনসিটি এমনি কিছু অন্য বিষয় এর উপর । গুগুল ধরে নেয় যে যখন একটি সাইট অপর একটি সাইটের লিঙ্ক নিজের মধ্যে স্থাপন করে তখন সেটি প্রকৃতপক্ষে অপর সাইটিকে একটি ভোট দিল। তাই আপনার সাইটের জন্য যত বেশি ভোট থাকবে তত বেশি সেটির গুরুত্ব গুগুলে কাছে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও গুগুল অন্যান্য যেসব সাইট আপনার সাইটটিকে লিঙ্ক করে থাকে তাদের নিজস্ব প্রাপ্ত ভোটকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই অন্যান্য সাইট যেগুলো আপনার সাইটটিকে লিঙ্ক করেছে বা ভোট দিয়েছে তাদের নিজের প্রাপ্ত ভোট যদি বেশি হয়, তবে গুগুলের দৃষ্টিতে আপনার সাইটের গুরুত্ব ততই বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার পেজ র্যাোঙ্ক বৃদ্ধি পাবে
পেজ রেঙ্ক মাপার জন্য অনেক টুল এবং আডন্স আছে… যার মাধমে আপনারা জানতে পারবেন কোন সাইট এর কেমন পেজ রেঙ্ক কেমন। নিচে ফায়ার ফক্সের একটা ADD-Ons দিলাম মাত্র ৭কেবি এর, যা আপনারা Instel করে পিসি রিস্টার্ট দিবেন। তার পর ব্রাউজারে গেলেই দেখতে পাবেন পেজ রেঙ্ক ।
https://addons.mozilla.org/…/webrank-toolbar-pagerank-alexa/
অথবা ফায়ার ফক্স ব্রাউজারে TOO গিয়ে ADd-ons অপশন এ গিয়ে সার্চ বক্সে webrank toolbar লিখে সার্চ দিলেও পেয়ে যাবেন । তাহলে চলুন ADd-ons টি ইন্সটেল করি।
এলেক্সা রেঙ্ক কি?
অ্যালেক্সা ইন্টারনেট (Alexa Internet, Inc.) সাইটটি ক্যালিফোর্নিয়ার আমাজন সাইটের একটি সাবসিডিয়ারি সাইট। যা আমরা সাধারনত এলেক্সা.Com নামে চিনি । এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এই ওয়েব ইনফরমেশন কোম্পানি থেকে আরো জানা যায় ওয়েব ভিজিটর সম্পর্কে রিপোর্ট। সাইটটি ১৯৯৬ সালে চালু হয় এবং এই সাইটের মালিক ব্রুস জিলাট । এলক্সা হতে আপনি একটি ওয়েব সাইট সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য যেমন ওয়েবসাইটের মালিক, হোস্টিং দেশ ইত্যাদি তথ্য ছাড়াও ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সম্পর্কে ধারণা পাবেন । এছাড়া বিশ্বের ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে কোনো ওয়েবসাইটের র্যাং কিং কত তা জানতে পারবেন । এসইও’র কাজে অ্যালেক্সা বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওয়েব বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালেক্সা র্যাং কিং-এ যদি কোনো সাইট প্রথম ১,০০,০০০-এর মধ্যে না থাকে, তাহলে যে রিপোর্ট দেখায়, তা প্রকৃতপক্ষে ভুল হয়ে থাকে। অ্যালেক্সা র্যাংবকিং যদিও বিশ্বনন্দিত, কিন্তু যারা অ্যালেক্সা টুলবার ব্যবহার করেন কেবল তাদের ভিযিটই অ্যালেক্সা গোণে, তাই অ্যালেক্সার তথ্য ১০০ ভাগ নিরপেক্ষ নয় । এস ই ও তে সাধারন ভাবে এলেক্সা এর তেমন চাহিদা না থাকলেও ক্ষেত্র বিশেষ এলেক্সা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । উদাহরন স্বরূপ আপনার যদি কোন ওয়েব সাইট থাকে এবং আপনি তা বিক্রয় করতে চান তখন আপনার বায়ার বা ক্রেতা বেশ কিছু বিষয় এর উপর নির্ভর করে আপনার সাইট কে পর্যালোচনা করবে এবং দাম নিদ্ধারন করবে । এখত্রে ভাল এলেক্সা র্যা ঙ্ক থাকলে আপনার ভাল দাম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । কারন এতে করে ক্রেতার মনে হয় যে সাইট টি একটি কোয়ালিটি সাইট এবং এতে ভাল ভিসিটর আছে যার কারনে আপনার এলেক্সা র্যা ঙ্ক অনেক ভাল । এছাড়াও আপনার সাইট এ বিভিন্ন এডভারটাইসার কোম্পানি এড দিতে আসলে তখন আপনি এলেক্সা র্যা ঙ্ক এর কারনে তার এড আপনার সাইট এ দেয়ার জন্য সে আকৃষ্ট হবে ।
আপওয়ার্ক সহ অন্য মার্কেট প্লেসে আপনি যদি SEO এর কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের দেওয়া কাজ গুলি ভালো জানতে হবে।
আর এটা জানা এমন কোন কঠিন কোন কাজ না, আপনার একটু পরিশ্রমই এবং আগ্রহই পারে আপনার ফ্রীলান্সিং কেরিয়ার তৈরি করতে ……………… শিখার আগ্রহ নিয়ে আসবেন আমরা অনলাইন স্কুল সব সময় আপনার পাশে আছি। শুরু হোক আপনার ফ্রীলান্সিং লাইফ। নিচের এই কাজ গুলকে সহজ কথায় লিঙ্কবিল্ডিং এর কাজ বলে যা ওডেস্ক সহ অন্য মার্কেট প্লেসে কাজে ভর্তি । লিংক বিল্ডিং এর আরেক নাম আছে তা হল ব্যাকলিঙ্ক। আজকে আমরা জানবো ব্যাকলিঙ্ক বা লিঙ্কবিল্ডিং কি? যদি ব্যাকলিঙ্ক কি বুজতে পারেন তাহলে বুজবেন আপনি 30% SEO বুঝে গেছেন।
- Blog comments,
- Social Bookmarking,
- Directory Submission,
- Forum Posting,
- Social networking,
- Article Submission,
- Google Analytic,
- Keyword research,
- web 2.0,
- SEO Audit,
- Onpage SEO
ব্যাকলিঙ্ক কি?
আমি প্রথমে সোজা কথায় বুজিয়ে দেই ব্যাকলিঙ্ক কি? ব্যাকলিঙ্ক হল আপনার অথবা আপনার Claint এর ওয়েব সাইটে ভিজিটর আনার জন্য ওই ওয়েব সাইটের লিংক বিভিন্ন মাধ্যমে সঠিক নিয়মে ছরিয়ে দেওয়াকেই ব্যাকলিঙ্ক বলে।
ব্যাকলিংক এর কথা মনে পড়লেই আমার মনে পড়ে আমাদের দেশের বড় বড় নেতাদের কথা,কি অবাক হচ্ছেন আমার কথা শুনে?আমি ব্যাকলিংক এর প্রয়োজনীয়তার কথা বললেই সবাকেই এই নেতাদের সাথে তুলনা করতে বলি।কিভাবে? লোকবল সবচেয়ে বড় বল।মনে করুন আপনার অনেক টাকা পয়সা আছে কিন্তু কাজ করার জন্য কোন লোকেই আপনি পেলেন না তাহলে কি টাকা পয়সার কোন মুল্য আছে? না নেই।সেভাবেই একজন প্রভাবশালী নেতাও কিন্তু একা কোন মূল্য নেই।দেখবেন যে সে সবসময় চায় তার অনেক অনেক সাঙ্গ-পাঙ্গ ( লোকবল ) থাকুক।কেননা লোকবল যত বেশি হবে তার ক্ষমতার প্রভাবও ততো বেশি হবে।ফলে সে সব জায়গায় সে তার প্রভাব আরো বেশি করে খাটাতে পারবে।কিংবা যখন সে কোন কাজ করতে যাবে তখন যদি তার পক্ষেই সবাই ভোট বা সম্মতি দেয় তাহলে তার কাজ ও গ্রহনযোগ্যতাও অনেকাংশে বাড়বে।অতএবে সে বনে যাবে একজন পাওয়ার ফুল ম্যান হিসাবে
সার্চ ইন্জিন এর কাছে ব্যাকলিংক ও তেমনি।একটি সাইটের গুরুত্ব ও গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে ব্যাকলিংক বড়ানোর কোন বিকল্পই হয় না।এক একটি ব্যাকলিংক আপনার জন্য ভোট স্বরূপ।এর জন্য সার্চ ইন্জিন সবসময় খুজে বেড়ায় কোন সাইটের ব্যাকলিংক বেশি।কেননা আপনি ও হয়তো কখনো চাইবেন না একজন অযোগ্য প্রার্থীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসাতে।এর জন্য সার্চ ইন্জিন ও তাদের প্রথম পেজটির জন্য বেশি গুরুত্ব দেয় ব্যাকলিংককে।
আর গুগল এই গুরুত্বকে সবার সামনে প্রকাশ করার জন্যই ব্যাবস্থা রেখেছে PageRank এর।পেজরেংক এর মাধ্যেম গুগল প্রকাশ করে যে ওয়েবসাইটটির গুরুত্ব বা রেংক কতটুকু।
অতএবে এ থেকে প্রমাণিত হয় যে আপনার পেজ রেংক বাড়ানোর জন্য ও সবচেয়ে দরকার ব্যাকলিংক বাড়ানো।