পিসি বিল্ড করবেন? দেখে নিন কম্পিলিট গাইডলাইন

কি? পিসি বিল্ড সাজেশনের জন্য সবার ইনবক্সে ঘুরাঘুরি করছেন? পিসি বিল্ড সাজেশনের জন্য পোস্ট করেও সাড়া পাচ্ছেন না? তাহলে এই পোষ্ট আপনার জন্যই। যারা কনফিউশনে পড়তে চান না, এবং পিসি বিল্ড গাইড নিয়ে বেসিক বিষয় গুলো জানতে চান তারা বাকিটা পড়তে থাকেন।
  1. প্রথমত আপনি কোন কাজের জন্য পিসি বিল্ড করতে চান সেটা নির্বাচন করুন। যেমন; গেমিং এর জন্য, ফটো/ভিডিও এডিটিং এর জন্য, প্রোগ্রামিং এর জন্য, 3d রিলেটেড কাজের জন্য, মেশিন লার্নিং এর জন্য….. এরকম আরো বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। পিসি দিয়ে কি কাজ করতে চান সেটা আগে ঠিক করুন।
  2. আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী পিসি’র জন্য বাজেট ঠিক করুন। যেমন সাভাবিক ভাবেই 4k ভিডিও এডিট এর জন্য আপনার বাজেট 50 হাজার টাকা রাখলে হবে না। আবার সাধারণ স্টুডিও তে হালকা কাজের জন্য দুই/আড়াই লাখ টাকা বাজেট রাখলে হবে না। আপনার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী একটা বাজেট ঠিক করুন।
  3. এবার আপনার রিকোয়ারমেন্ট এবং বাজেট অনুযায়ী পিসি’র কম্পোনেন্ট নির্বাচন করুন।

Contents

প্রসেসর

প্রসেসর নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয় কোর কয় থ্রেড’স, ক্লক-স্পিড কত এগুলো তো দেখবেনই সাথে প্রসেসরে কোনো হিটিং ইস্যু আছে কিনা, কোন ধরনের RAM সাপোর্ট করে (যেমন ddr4/ddr5), কত মেগা-হার্জ এর RAM সাপোর্ট করে। Gen 3 নাকি Gen 4 সাপোর্টেড । L1,L2, L3 Cache কত mb সেগুলোও দেখে নিবেন। প্রসেসরে igpu থাকলে সেটার পারফরমেন্স কেমন সেটাও দেখে নিবেন।
[Note 1: আপনার বাজেট যদি 50 হাজারের নিচে হয় আর আপনার কাজে গ্রাফিক্স এর প্রয়োজন হয়, এবং পরবর্তীতে কোনো gpu লাগানোর প্ল্যান না থাকে তাহলে AMD এর igpu সহ প্রসেসর গুলো নিতে পারেন। কারণ বিগত অনেক গুলো প্রসেসর কম্পেয়ার করে দেখা গেছে low বাজেটে intel থেকে AMD এর প্রসেসরের igpu র পারফরমেন্স বেটার। আর পরবর্তীতে gpu লাগানোর প্ল্যান থাকলে intel এর প্রসেসর নিতে পারেন। আর গ্রাফিক্স রিলেটেড কাজ না থাকলে যেকোনো আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো ব্র্যান্ড এর প্রসেসর নিতে পারেন।]
[Note 2: অনেকেই মনে করেন AMD Ryzen 5600g এবং 5600 এর মধ্যে পার্থক্য শুধু একটায় igpu আছে আর আরেকটায় নাই। আসলে বিষয় টা এমন না। এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, এখানে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম না। amd এর ক্ষেত্রে g সিরিজ এবং নম্বর সিরিজ দুইটা আলাদা। 5600/5700 g সিরিজের প্রসেসর গুলো থেকে অনেক বেশি পাওয়ারফুল। তাই প্রসেসর নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই বিষয় টা খেয়াল রাখবেন।]

কুলার

প্রসেসর থেকে ভালো পারফরমেন্স পেতে প্রসেসর ঠান্ডা রাখা জরুরি। আর প্রসেসর ঠান্ডা রাখতে একটা ভালো কুলার প্রয়োজন। প্রসেসরে কাজের চাপ বেশি না থাকলে প্রসেসরের সাথে দেওয়া স্টক কুলার টাই যথেষ্ট। কুলার কিনার ক্ষেত্রে খুব বেশি দেখার কিছু নেই। আপনার স্পেসিফিক বাজেটে কি কুলার আছে এবং সেটার কুলিং পারফরমেন্স কেমন সেটা জানলেই যথেষ্ট। এছাড়াও কুলার এর ফ্যান rgb/argb কিনা সেটা দেখতে পারেন।
[Note : বাজেট 7-8 হাজার হলেও এয়ার কুলার নেওয়া উচিত। বাজেট 10 হাজার বা তার উপরে হলে Aio ( All in one ) কুলার নিতে পারেন। ]

মাদারবোর্ড

পিসি থেকে সম্পূর্ণ পারফরমেন্স পেতে একটা সঠিক মাদারবোর্ড নির্বাচন করা প্রয়োজন। মাদারবোর্ড কয়েকটা সাইজের হয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশি প্রচলিত হলো atx এবং m-atx। atx বোর্ড সাইজে বড়ো হয় এবং কিছু ports এক্সট্রা থাকে। আর m-atx বোর্ডে ports কিছু কম থাকে এবং সাইজে একটু ছোট হয়। কিন্তু এতে পারফরমেন্সএ কোনো পার্থক্য দেখা না গেলেও দামে কিছুটা কম থাকে m-atx মাদারবোর্ড। তাই বেশিরভাগ সময়ই বিল্ড এ m-atx বোর্ড ব্যাবহার করা হয়। আপনি আপনার পছন্দ মত যেকোনো একটা নিতে পারেন। এছাড়া মাদারবোর্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমত আপনার প্রসেসরের সকেট মিলিয়ে মাদারবোর্ড কিনতে হবে। তারপর সেই মাদারবোর্ডে কত মেগা-হার্জ পর্যন্ত RAM সাপোর্ট করে, কোন ধরনের RAM সাপোর্ট করে, RAM এর কয়টা স্লট আছে সেগুলো দেখতে হবে। তারপর সেটা কি gen3 নাকি gen4 সেটাও দেখতে হবে। m.2 Nvme ssd এর স্লট আছে কিনা দেখতে হবে। RGB/ARGB হেডার আছে কিনা দেখতে হবে। বিল্ড এর বাজেট বেশি হলে wifi সহ মাদারবোর্ড নেওয়া উচিত। i/o পোর্ট গুলো দেখতে হবে। বর্তমানে i/o পোর্ট গুলোর মধ্যে hdmi & ডিসপ্লে পোর্ট থাকা জরুরি, এছাড়াও অন্তত Usb 3.1 gen 2/1 এর usb port থাকা দরকার। এবং একটা Type-c পোর্ট থাকা দরকার। এছাড়াও মাদারবোর্ডের হিট-সিঙ্ক এর পারফরমেন্স কেমন, ব্র্যান্ড ভ্যালু & আফটার সেল সার্ভিস কেমন সেগুলোও খেয়াল রাখতে হবে।
[Note : 5700g gen 4 সাপোর্টেড তাই অনেকে gen4 এর সুবিধা পাওয়ার জন্য b550 মাদারবোর্ড নিয়ে থাকে। কিন্তু low & mid বাজেটের b550 মাদারবোর্ড গুলো সাধারণত gen3 হয়ে থাকে। মাদারবোর্ডের মডেলে সেটা উল্লেখ থেকে। তাই gen 4 এর সুবিধা পেতে হলে বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে gen 4 এর b550 মাদারবোর্ড নিন। অথবা টাকা কিছুটা সেভ কিরে b450 মাদারবোর্ড নিয়ে নিন। ]

Ram

Ram নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবাই সাধারণত কত gb আর কত মেগার-হার্জ সেটাই দেখে। কিন্তু ram নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয়ের খেয়াল রাখতে হবে। Ram নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার প্রসেসর এবং মাদারবোর্ড সর্বোচ্চ যত মেগা-হার্জ এর ram সাপোর্ট তত মেগা-হার্জ এর কিনা উচিত। সাথে টাইমিং বা লেটেন্সি কত সেটাও দেখতে হবে। লেটেন্সি যত কম হবে pc তত ফাস্ট রেসপন্স করবে। এবং হিট-সিঙ্ক সহ ram গুলো নেওয়া উচিত।
[ Note 1: প্রসেসরে igpu থাকলে ডুয়েল চ্যানেল ram ব্যাবহার করা উচিত। এতে পারফরমেন্স বেটার পাওয়া যায়। অর্থাৎ 16 জিবির একটা স্টিক না নিয়ে 8×8 gb এর 2 টা স্টিক নিয়ে ডুয়েল চ্যানেল র্যাম হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। ]
[ Note 2: বিল্ড এর বাজেট দের লাখ টাকার কাছাকাছি বা তার বেশি হলে ddr5 ram ব্যাবহার করা উচিত। এতে পারফরমেন্সে অনেকটা বুস্ট পাওয়া যাবে। এছাড়াও ddr5 Ram এর দাম এখন অনেকটাই কমে এসেছে। ]

স্টোরেজ ডিভাইস

বর্তমান সময়ে এসে hdd নেওয়ার কোনো যৌকতিকতা নেই। মোটামুটি কম বাজেটেই ssd পাওয়া যায়। বর্তমানে সিস্টেম ড্রাইভে হিসেবে অন্তত একটি Nvme ssd ব্যাবহার করা উচিত। 1800-2000 এর মধ্যেই অনেক ভালো ভালো Nvme ssd পাওয়া যায়। আর নরমাল ডাটা স্টোর এর জন্য দাম, রিড রাইট স্পিড এবং ওয়ারেন্টির উপর নির্ভর করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ব্র্যান্ড এর ssd নিতে পারেন। বর্তমানে 1 টা 1tb ssd এবং 1tb hdd এর দাম প্রায় একই। তাই hdd কে না বলুন, ssd দিয়ে পিসি গড়ুন 😁
[ Note 1: ssd এর ক্ষেত্রে বাস্তবে কেমন রিড রাইট স্পিড দেয় সেটা দেখে ssd নির্বাচন করতে হবে। ]
[ Note 2: m.2/nvme ssd এর উপর হিট-সিঙ্ক ব্যাবহার করলে ssd এর হেলথ ভালো থাকে। তাই চেষ্টা করবেন একটা হিট-সিঙ্ক ব্যাবহার করার। ]

Gpu

গ্রাফিক্স কার্ড কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্ট। গ্রাফিক্স কার্ড কিনার সময় প্রধানত যা দেখবেন সেটা হলো Cuda cores কতগুলো আছে। যেহেতু gpu প্যারালাল কম্পিউটিং এ কাজ করে। সেক্ষেত্রে Cuda cores যত বেশি হবে তত বেটার। তারপর gpu এর বেস ক্লক স্পিড এবং বুষ্ট ক্লক স্পিড কত সেটা দেখতে হবে। তারপর জিপিওর মেমোরি টাইপ কেমন বা Gddr কত (Gddr5/Gddr5x/Gddr6/Gddr6x) সেটা দেখতে হবে। যত আপডেট Gddr নেওয়া যায় তত ভালো। তারপর সেই মেমোরি কত জিবির সেটাও দেখতে হবে। বর্তমান সময়ে 4gb এর নিচের গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়া উচিত না। বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে হলেও অন্তত 4gb/6gb এর গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়া উচিত। গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম Nvidia… সাথে Amdও বেশ জনপ্রিয়। নতুন করে ইন্টেল gpu মার্কেটে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে। A750, A770 সহ বেশ ভালো ভালো কার্ড আনছে। তবে ড্রাইভার নিয়ে কিছু সমস্যায় আছে কনজিউমার। যদিও ইন্টেল ড্রাইভার নিয়ে কাজ করছে। ড্রাইভার রিলেটেড প্রবলেম সলভ হয়ে গেলে ইন্টেল বেশ ভালো অল্টারনেটিভ হয়ে উঠবে। তবে বর্তমানে একটা ভালো gpu নিতে চাইলে অবশ্যই Nvidia এর দিকে যাওয়া উচিত। কারণ পারফরমেন্স, টেকনোলজি, আপডেট, ড্রাইভার সাপোর্ট এবং বাকি সবকিছু মিলিয়ে Nvidia সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে

Psu

পিসির অত্যন্ত সেন্সেটিভ কম্পনেন্ট হলো পাওয়ার সাপ্লাই। অনেকে আছে সম্পূর্ণ পিসিতে ভালো ভালো পার্টস ব্যবহার করে কিন্তু পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সময় কৃপণতা করে। পিসির হেলথ ভালো রাখতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের গুরুত্ব অনেক। নন রেটেড বা নিম্নমানের পাওয়ার সাপ্লাই তে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হয় যার ফলে পিসির বিভিন্ন কম্পনেন্ট এর ক্ষতি হয়। যেমন ram , hdd সহ আরো কিছু সেন্সিটিভ পার্টস ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন এর কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই অবশ্যই একটি ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়া উচিত।
পাওয়ার সাপ্লাই সাধারণত তিন ধরনের হয়
(i)নন মডিউলার,
(ii)সেমি মডিউলার,
(iii)ফুল মডিউলার।
নন মডিউলার পাওয়ার সাপ্লাই এর ক্ষেত্রে আপনি কোন তার খুলতে পারবেন না অথবা চেঞ্জ করতে পারবেন না অর্থাৎ এটি ফিক্স থাকবে। সেমি মডিউলারের ক্ষেত্রে কিছু তার ফিক্স থাকবে আবার কিছু তার খোলা যাবে বা চেঞ্জ করা যাবে। ফুল মডিউলার পাওয়ার সাপ্লাইতে সব তার খোলা যাবে বা চেঞ্জ করা যাবে অর্থাৎ আপনার মন মত তার ব্যবহার করে এবং অপ্রয়োজনীয় তার খুলে রেখে পিসি বিল্ড করতে পারবেন যার ফলে কেবল ম্যানেজমেন্ট এ অনেক সুবিধা হয়। পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার পিসির যতটুক পাওয়ার কনজিউম করে তার থেকে হালকা একটু বেশি নেওয়া উচিত। অনেকেই মনে করে পাওয়ার সাপ্লাই ৪৫০ ওয়াটের জায়গায় ৬৫০ ওয়াট নিলে কারেন্ট বিল বেশি আসবে। ধারণাটা ভুল। পাওয়ার সাপ্লাই যত যত ওয়াটেরই হোক পিসি যতটুক কনজিউম করবে পাওয়ার সাপ্লাই ততটুকুই সাপ্লাই দিবে। পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত ব্রোঞ্জ রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়া উচিত। রেটিং যত হাই, এফিশিয়েন্সি তত বেশি। তাই অবশ্যই ভালো মানের রেটিং যুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়া উচিত। আর psu এর ক্ষেত্রে অনেক ব্র্যান্ড বার্ন ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এই ব্র্যান্ড গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

Ups

লোড-সেডিং বর্তমানে সবচেয়ে বিরক্তিকর সমস্যা গুলোর মধ্যে একটা।😑। আর যারা ‘পিসি’ ব্যাবহার করেন তাদের জন্য তো এটা ‘গলার কাটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা দুর করার জন্য অনেকেই ups কিনছেন। কিন্তু ups সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা না থাকায় অনেকেই ups কিনেও শান্তি পাচ্ছেন না।
এই পোস্ট টা পড়লে ups সম্পর্কে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না আসা করি।
প্রথমে কিছু বেসিক কথা বলে নেই। Ups এর পূর্ণ রূপ হলো uninterruptible power supply… অর্থাৎ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ… একটু সহজ ভাষায় বলি; Dc থেকে ac কারেন্ট তৈরি করার জন্য যে যন্ত্র ব্যাবহার করা হয় তাকে বলে ইনভার্টার। যে ইনভার্টারে চার্জিং ক্ষমতাও আছে তাকে বলে ips এবং যে ips এ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায় তাকে বলে ups… আসা করি এই তিন টার পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন।
1. ups কয় ধরনের?
Ans: ups সাধারণত তিন ধরনের।
1: Offline Standby; এটা একদম বেসিক ups… তবে কাজ চলে যায়।
2: Line-interactive; এটা ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হলে সেই ভোল্টেজ কে একদম প্রপার ভোল্টেজ আমাদের পিসি’র পাওয়ার সাপ্লাইয়ে পাঠায়।
3:Online double conversion
2. কোন ups টা কিনা ঠিক হবে?
Ans: সাধারণ মানুষের জন্য line interactive ups কেনা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে যাদের বাজেট কম তারা চাইলে offline standby ও কিনতে পারেন কাজ চলে যাবে। তবে online double conversion কেনার প্রয়োজন নেই। এটা অনেক দামি এবং সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটিরও কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের জন্য আগের দুটো যথেষ্ট। তবে যারা সার্ভার চালান অথবা যারা isp অথবা যারা অনেক হাই-এন্ড পিসি ইউজ করেন এবং যথেষ্ট পরিমাণ বাজেট আছ তারা চাইলে এটা কিনতে পারেন।
3.ব্যাটারি যুক্ত ups কিনবো নাকি ব্যাটারি ছাড়া?
Ans: আপনি যদি শুধু মাত্র কারেন্ট চলে গেলে যে কাজ করছিলেন সেগুলো সেভ করে পিসি বন্ধ করে দিবেন এরকম চিন্তায় ups কিনেন তাহলে ব্যাটারি যুক্ত ups কিনতে পারেন ( তবে এক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের ups কিনতে হবে। নরমাল ups এর ব্যাটারি গুলো খুব একটা ভালো হয় না। খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় )
আর আপনি যদি ভেবে থাকেন কারেন্ট যাওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা ব্যাকআপ দরকার তাহলে ব্যাটারি ছাড়া ups গুলো কিনে আলাদা ভাবে ব্যাটারি সংযোগ করতে হবে। ( যেগুলোতে ব্যাটারি আছে, সেগুলো সাধারণত 10-20 সর্বোচ্চ 30 মিনিট ব্যাকআপ দেয় )
4. যদি ব্যাটারি ছাড়া ups কিনি তাহলে কি যেকোনো ধরনের ব্যাটারি ব্যাবহার করতে পারবো? নাকি কোনো নির্দিষ্ট ধরনের ব্যাটারি কিনতে হবে?
Ans: না, আপনি চাইলেই যেকোনো ধরনের ব্যাটারি ব্যাবহার করতে পারবেন না। হে, যেকোনো ধরনের ব্যাটারি সংযোগ করে ব্যাকআপ পাবেন কিন্তু ব্যাবহার করা উচিত হবে না, সে ব্যাটারি গুলো খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে । *” Ups এর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো Tubular ব্যাটারি “* ( Tubuler কোনো ব্র্যান্ড এর নাম না। এটা ব্যাটারি তৈরির একটা প্রযুক্তির নাম )। দেশে অনেক নামি দামি ব্র্যান্ডের Tubular ব্যাটারী পাওয়া যায়। সবগুলোই প্রায় একই ধরনের। যে ব্র্যান্ডের ভালো লাগে সেটাই নিতে পারেন। তবে আরেকটা কনফিউশন আসতে পারে, Tall tubular ব্যাটারি নিবো নাকি flat tubular ব্যাটারি নিবো। আসলে দুটো একই প্রযুক্তির, একই ধরনের ব্যাকআপ দেয়, সবই এক শুধু ডিজাইনের পার্থক্য। একটা লম্বা একটা চেপ্টা। কিন্তু লম্বা টা চেপ্টা ব্যাটারি থেকে মিনিমাম 4-5 হাজার টাকা বেশি দাম। তাই আমার মতে লম্বা টা কিনার কোনো যৌকতিকতা নেই। দোকানদার উল্টা পাল্টা বুঝাতে চাইলেও এসবে পাত্তা দিবেন না। নির্দ্বিধায় flat tubular ব্যাটারি কিনতে পারেন।
5.ব্যাটারি’র জন্য কত আম্প্যার চার্জার কিনবো?
Ans: ব্যাটারি সাধারণত 10-12 পার্সেন্ট চার্জিং কারেন্ট হয়ে থাকে। সে হিসাবে, আপনার যদি 200AH এর ব্যাটারি থেকে থাকে তাহলে সেটা চার্জ দিতে আপনার 20A চার্জার ব্যাবহার করা দরকার। 100 AH হলে 10A, 50AH হলে 5A…
6. কত VA এর ups কিনবো?
Ans: আপনি যদি সাধারণ পিসি ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে 650 VA যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি অনেক হাই-এন্ড পিসি, অনেক পাওয়ারফুল cpu, gpu ওয়ালা পিসি ব্যাবহার করেন তাহলে 1200VA এর ups নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

Monitor

যদি এডিটিং বা কালার রিলেটেড কাজ হয় তাহলে স্ট্যান্ডার্ড রিফ্রেশ রেট এর Ips led মনিটর নেওয়া উচিত আর যদি গেমিং এর জন্য নেওয়া হয় তাহলে হাই রেস্ট্রেশনের যুক্ত মনিটর নেওয়া উচিত যেগুলো সাধারণত va প্যানেল এর হয়। তবে আপনার যদি দুটো কাজই করবেন ভাবেন তাহলে বর্তমানে অনেক ব্র্যান্ড হাই রিফ্রেশ রেট এর ips প্যানেল যুক্ত মনিটর তৈরি করছে। সেক্ষেত্রে এগুলো ও চয়েজ করা যায়। মনিটর কিনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সেগুলো হলো মনিটরে অতিরিক্ত ঘোস্টিং ইস্যু আছে কিনা ডেড পিক্সেল আছে কিনা এগুলো দেখতে হবে।

Leave a Comment