ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য যে জিনিস গুলো আপনার মাথায় রাখা প্রয়োজন, কিভাবে একটি ভালো আর্টিকেল লেখা যায়। The Best Practices for Writing Great Content

কন্টেন্ট রাইটিং, এটি অর্থ উপার্জনের জন্য করেন অনেকেই, তাছাড়াও অর্থ উপার্জনের কথা বাদ দিলেও এটি মার্কেটিং, ব্লগিং, এফিলিয়েট ইত্যাদির জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একবার যদি একটি ভালো কন্টেন্ট লেখা শিখে যান তবে এই স্কিল দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। যেমন ধরুন একটি ভালো ব্লগ দাড় করিয়ে প্রতি মাসে একটা ভালো এমাউন্ট এর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আবার ধরুন বিভিন্ন ইউটুবার দের স্ক্রিপ্ট লিখেও ভালো পরিমানে রেভিনিউ জেনারেট করা যায়।  আবার এফিলিয়েট মার্কেটিং বা কপিরাইটিং এর মাধ্যমেও ভালো পরিমান এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব। মেইন ব্যাপার টা হলো এই স্কিল টা।

সব দিক বিবেচনায় রেখে আজকে আলোচনা করব, একটি ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার কি কি বিবেচনা করা উচিত। তো চলুন শুরু করা যাক।

Contents

Targeted Audience

নিজের অডিয়েন্স টাইপ অর্থাৎ  কোন ধরনের মানুষ আপনার লেখা বেশি পড়ে এটা জানা অনেক জরুরী। একটা উদাহরন ভাবুন। আমাদের এই ব্লগে বেশিরভাগ কন্টেন্ট টেক রিলেটেড। তো আমার যে ডেইলি ভিজিটর তৈরী হবে তারা নিশ্চয় টেকনিক্যাল দিকের মানুষ ই বেশী হবে। তো এখন যদি আমি এই ব্লগে প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য না দিয়ে গল্প বা গানের লিরিক্স লিখি তাহলে তো ভিজিটর রা আর সাইট ভিজিট ই করবেনা।

আর এই সাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক কন্টেন্ট এর মাঝেও বেশির ভাগ ভিজিটর একটি নির্দিষ্ট প্রযুক্তির ওপর বেশি কৌতুহলী। তো এইসব বিষয় মাথায় রেখে আপনার কন্টেন্ট লিখতে হবে। যেমন এই আমার উইকি তে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট/ হোস্টিং/ডোমেইন রিলেটেড কন্টেন্ট এ বেশী ভিজিটর আসবে। তো এই দিকটি মাথায় রেখে আপনার কন্টেন্ট গুলো লিখতে হবে।

কী-ওয়ার্ড  রিসার্চ এবং SEO

কী-ওয়ার্ড রিসার্চ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনি যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখছেন সে বিষয়ে যদি মানুষ সার্চ ই না করে তাহলে সে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখে আপনার কোনো লাভ ই হবেনা। যেমন ধরুন আপনি কোনো প্রোডাক্ট রিভিউ লিখছেন। এখন এই প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার জন্য আপনি নিশ্চয় কোনো একটি প্রোডাক্ট নিয়ে লিখবেন। এখন এই যে প্রোডাক্ট নিয়ে লিখবেন সেটির যদি চাহিদা কম থাকে, বা মানুষ সেটা নিয়ে খুব বেশী সার্চ না করে তাহলে আপনার সেটা লিখে তেমন কাজ হবেনা। কারন আপনি ভিজিটর ই পাবেন না। এজন্য আপনাকে আগে ভালোভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। বেশিরভাগ কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল পেইড, তবে ফ্রী কিছু বিকল্প আছে। যেমন Free Keyword Tool | WordStream

কি-ওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে আরো জানতে এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন –

কিওয়ার্ড রিসার্চ কী এবং কেন প্রয়োজন? বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল সম্পর্কে জানুন (২০২৩)

আর কী-ওয়ার্ড রিসার্চের মতোই এস.ই.ও ও অনেক গুরুত্বপূর্ন। কন্টেন্ট রাইটিং এ এস.ই.ও না করলে আপনার কন্টেন্ট গুগলে প্রথম পেইজ এ আসবেই না। আর প্রথম পেইজ এ না আসলে আপনি তেমন একটা অর্গানিক ভিজিটর ও আনতে পারবেন না যা খুব দরকার।

আর্টিকেলের গঠন/প্লান

আপনি যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে কোন কোন টপিক আপনি আপনার লেখাতে কভার করবেন তার একটা পূর্ব পরিকল্পনা রাখুন। বিষয়টা আসলে এমন যে, আপনি এই যে আর্টিকেল টা পড়ছেন এখন, এটাতে দেখুন অনেক গুলো হেডিং এ বিভিন্ন বিষয় বা টপিক কভার করা হয়েছে। এমন আপনি যে বিষয়ে লিখবেন তার মধ্যে কি কি লিখবেন তা আগে থেকে ভেবে রাখুন।

যেমন আপনি যদি “কিভাবে ফেসবুক চালাতে হয়” (শুধুমাত্র উদাহরনের জন্য বললাম, এমন কন্টেন্ট কেউ পড়বে না।) তাহলে আপনার প্লান বা হেডিং গুলো এমন হতে পারে

  • কিভাবে পোস্ট করতে হয়।
  • কিভাবে কাউকে মেসেজ দিতে হয়
  • কমেন্ট কিভাবে করতে হয়

এভাবে কোনো বিষয়ে যত সম্ভব টপিক কভার করার চেষ্টা করবেন। তাহলে গুগলে তা র্যাংকে আসার সম্ভাবনা বেশি।

হেডলাইন / টাইটেল

কোনো আর্টিকেলের সব থেকে প্রথম যে জিনিসগুলো চোখে পড়ে তা হলো টাইটেল এবং আর্টিকলেরে মধ্যের হেডিং গুলো। তাই এগুলো ঠিকভাবে অপটিমাইজ করা প্রয়োজন।  যেমন টাইটেল “ভালো রান্নার জন্য টিপস গুলি” এমন না হয়ে “ভালো রান্নার আর্ট কে শিখুন, ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত ভালো রান্নার জন্য”।

মানে আমি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি যে, পাঠক সবার আগে আপনার আর্টিকেলের টাইটেল পড়বে, তারপর পড়বে হেডিং তাই এমন হেডিং আর টাইটেল রাখুন যাতে পাঠক তা না পড়ে চলে না যায়।

High quality Content

হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট বলতে সবাই বুঝে অনেক ভালো করে বড় করে, এস. ই. ও করে আরো অনেক কিছু করে লিখতে হবে। আমি এটা নিয়ে কিছু বলব না। আমি মেইনলি যেটা বলতে চাই তা হলো হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট মানে শুধু লেখার মান অনেক ভালো বুঝায় না, এটা পড়তে গেলে এমন লাগবে যেন কথা বলছি পাঠকের সাথে। যা লিখবেন তার মধ্যে ইনফোরমেশন তো থাকবে, সত্য তথ্যগুলো, তবে এমন ভাবেনা যাতে পাঠকের কাছে বই পড়ছি বলে মনে হয়। পাঠক যেন পড়ে বোরিং না ফিল করে সাধারন জ্ঞান পড়ার মতো।

এডিটিং

পুরো লেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পর কিছু বিষয় অনেক ভালো ভাবে চেক করুন। বানান, লেখার ভুল তো চেক করবেন ই। সাথে সাথে চেক করুন যে বিষয়ে লিখছেন তাতে আর কোনো টপিক লেখা যায় কিনা। কোথাও পড়তে বোরিং লাগছে কিনা। এমন ছোট খাটো বিষয় গুলোউ অনেক প্রভাব ফেলে।

পরিশেষে

সবশেষে এটাই বলতে চায় ওপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে বলেছি সেগুলো একবার ট্রাই করে দেখুন। আমি আমার নিজের ব্লগে এগুলো করে অনেক ভালো পরিমান ভিজিটর এনে এডসেন্স নিয়ে সাইট টি অনেক ভালো একটা এমাউন্ট এ সেল করতে পেরেছিলাম। আমি নিজেও তেমন ভালো লিখতে পারিনা। তবে যতটুকু পারি দেওয়ার চেষ্টা করি।

Leave a Comment